রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শোক সংবাদ! শোক সংবাদ!! নওগাঁর মহাদেবপুরে ফুলবাড়ি নিবাসী মোঃ আব্দুর হামিদ খাঁন সকলকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি দিলেন কালাইয়ে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভয়াবহ গরমে বিনামূল্যে পান করানো হচ্ছে ঠান্ডা শরবত বিদ্যুতের তার ছিড়ে মারা গেলো ভাই, বোন এবং মা দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অভিযানে তিন মাদকসেবী গ্রেফতার বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক প্রবোধচন্দ্র সেনের শুভ জন্মদিন আজ নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে ড্যাব আয়োজিত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও পানি বিতরণ মধুপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত এত্তো কাঁদালি দোস্ত : ভালো থাকিস ওপারে দুপচাঁচিায়ায় ৩ মাদক সেবীসহ গ্রেফতার ৬ জন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক পেপার বিক্রেতার মৃত্যু মনোহরদীতে দোকান মালিকের কাছে ভাড়াটে পক্ষের ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের সদস্য মোঃ মতিয়র ০৬ ওয়ার্ড কে মডেল হিসাবে গড়তে চায় কালাইয়ের ঝামুটপুর বানিহারা হাতিয়র এলাকাবাসীর সালাতুল ইস্তিসকার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্রেস হেলথ কেয়ার লিমিটেড স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এর গর্বিত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যর জমি গভীর রাতে দখল স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নওগাঁয় প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি খাস জমির গাছ কেটে আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই নওগাঁর নোচনাহার বাজারে স্টেশনারি ও কাপড়ের ৩ টি দোকান আগুনে পুড়ে ভূষ্মিভত

নওগাঁর সদর উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ১ হাজার একশত টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৯ বার পঠিত

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ

তুই এর আগে প্রশংসাপত্র নিয়ে গেছিস। সেটার টাকা এখনো দিসনি। স্কুল কোনো মাছের বাজার নয়। টাকাগুলো এক্ষুণি পরিশোধ করতে হবে। খালি হাতে সনদ ও নম্বরপত্র আর দেওয়া যাবে না।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হতদরিদ্র পরিবারের এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবার মান-সম্মান নেই বলেও কটুক্তি করেছেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। পরে এ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মারুফা আক্তার রিনা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভীমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়। স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বর্তমানে বগুড়ার একটি সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মারুফা আক্তার রিনা বলেন, ‘ওইদিন স্কুলে সনদ ও নম্বরপত্র নিতে গেলে স্যাররা রশিদ বহির্ভূত ১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করেন। এই ঘুষের টাকা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমার কৃষক বাবার নেই। তাই টাকা ছাড়া আমার সনদ ও নম্বরপত্র দিতে অনুরোধ করেছিলাম। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে আমার বাবা ঘুষের এই টাকা জোগাড় করে পরিশোধ করতেও চেয়েছে। এক পর্যায়ে আমার মায়ের সামনে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক হারুন।পরে প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হারুন স্যারকে বলেন, ওদের কোনো মান সম্মান নেই। তুমি সার্টিফিটেক দিয়ে দাও।স্কুলটিতে সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায়ের চেষ্টা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুধুমাত্র মারুফার ক্ষেত্রেই হয়নি। এখন পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যত শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের থেকেই এভাবেই জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। এক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র বাবদ ৬০০ টাকা এবং সনদ ও নম্বরপত্র বাবদ ৫০০ টাকা ঘুষ নির্ধারণ করেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাস করার পর প্রশংসা, সনদ ও নম্বরপত্র স্কুলে আটকে রাখেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এসব নিতে গেলে ঘুষ চাওয়া হয় ১ হাজার ১০০ টাকা। এই টাকা না দিলে শিক্ষকরা হুমকি-ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করেন। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় অনেক সহজ-সরল অভিভাবককে লাঞ্ছিত করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদের অপমান করেন শিক্ষকেরা মিলে। এ কারণে অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েও নীরবেই থাকতে হয় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়টিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পাশ করা আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুন আক্তার নিশি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে স্কুলে প্রশংসাপত্র, নম্বরপত্র এবং সনদপত্র নিতে গেলে ১ হাজার ১০০ টাকা দাবি করা হয়। ওই মুহূর্তে এতো টাকা কাছে না থাকায় ৬০০ টাকা দিয়ে শুধুমাত্র প্রশংসাপত্র পেয়েছি। এই টাকার রশিদ চাইলে দেবে না বলে জানান। এই কারণে আমি এখনো কোনো নম্বরপত্র ও সনদ তুলিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে সামনাসামনি গিয়ে কথা বলতে হবে জানিয়ে কল কেটে দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150