বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধার পলাশবা‌ড়ি‌তে মিথ্যা অপপ্রচা‌রের প্রতিবা‌দে এক সংবাদ স‌ম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে নওগাঁর রাণীনগরে তীব্র গরমে এমপি সুমনের নির্দেশে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয় নওগাঁয় একুশে পরিষদের উদ্যোগে ১৯৭১ সালে অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ রোট টু বালুঘাট কালাই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কিংবদন্তি বাঙালি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস “””””””রসায়নবিদ জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ স্বনামধন্যা সুরসম্রাজ্ঞী অন্নপূর্ণা দেবীর জন্মদিন আজ মধুপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত ঘোষণা নওগাঁর মহাদেবপুরে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীর হামলায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জন আহত নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার মামলায় স্বামী সালাউদ্দিনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত নওগাঁ আসিফ মেহেনাজ নামে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা তীব্র দাবদাহে সারাদেশের মতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নওগাঁর জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর ও সর্দিজনিত রোগী। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ দুপচাঁচিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক যুবকের কারাদন্ড দুপচাঁচিয়ায় হেরোইন সহ যুবক গ্রেফতার চাটরা স্টুডেন্টস ফোরাম আলোকিত মানুষ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বার্ষিক কুইজ বিজয়ী ও উত্তীর্ণদের পুরস্কার বিতরণ সচেতন বার্তা প্রদানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা — মনোহরদীতে জমি সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত-০২ ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠি হাতীবান্ধায় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা আটক গ্রাম পুলিশকে জেলহাজতে প্রেরন

একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে মৃত্যু

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ মে, ২০২১
  • ১৭৯ বার পঠিত

১৯৯৭ সালের ২৩ এপ্রিল। দিনটি এখনো স্পষ্ট মনে আছে গ্রেগরি রেমন্ড রাফেলের। চিকিৎসক ফোন করে বললেন, ‘আপনার স্ত্রীর সফল ডেলিভারি হয়েছে। তিনি ভালো আছেন’।

এই শুনে আনন্দে আত্মহারা রাফেল হাসপাতালে ছুটে গিয়ে দেখেন, স্ত্রী সোজার পাশে শুয়ে আছে দুটি ফুটফুটে বাচ্চা; তারা দেখতে একই রকম। তাদের নাম দেয়া হলো জোফ্রেড ভার্গেজ গ্রেগরি ও র্যালফ্রেড জর্জ গেগরি।

শৈশব থেকে সব কাজ প্রায় একসঙ্গেই করেন তারা। বড় হয়ে দুজনে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়েন। পড়াশোনা শেষে দুজনেই চাকরি করেন হায়দারাবাদে। কাকতালীয়ভাবে, দুজনের মৃত্যুও হয়েছে একসঙ্গে। গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জোফ্রেড ও র্যালফ্রেড মারা গেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল একই সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বর আসে দুই ভাইয়ের। তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পর গত সপ্তাহে এক ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রাফেল বলেন, ‘আমি জানতাম, যদি আমাদের ছেলেরা সুস্থ হয়, তাহলে তারা একসঙ্গে বাড়ি ফিরবে, আর তা না হলে না। একজনের সঙ্গে যা ঘটতো, অন্যজনের সঙ্গেও সেটাই ঘটতো।

তাদের জন্মের পর থেকেই এমন হয়ে আসছিল। জোফ্রেডের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, র্যালফ্রেড একা বাড়ি ফিরবে না। তারা এক ঘণ্টার ব্যবধানে ১৩ ও ১৪ মে মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিয়ে তাদের দুই ভাইয়ের অনেক পরিকল্পনা ছিল। একটা ভালো জীবন আমাদেরকে দিতে চেয়েছিল তারা। তাদেরকে ভালোভাবে লালন-পালন করতে শিক্ষক হিসেবে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং এ কারণে সুখ দিয়ে তারা আমাদের কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছিল।’

রাফেল আরও বলেন, ‘মৃত্যুর আগে কোরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল জোফ্রেড ও র্যালফ্রেড। এরপর কাজের জন্য তারা জার্মানি যেতে চেয়েছিল। আমি জানি না, ঈশ্বর আমাদেরকে কেন এমন শাস্তি দিল।’

বাবা-মাকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল তাদের: নেলফ্রেড নামে তাদের আরও একটি ছেলে রয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন গ্রেগরি রেমন্ড রাফেল। জোফ্রেড ও র্যালফ্রেডের জ্বর আসার পর বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তারা। তাদের বাবা-মা ভেবেছিলেন, জ্বর কমে যাবে। কিন্তু তা হয়নি।

রাফেল বলেন, ‘আমরা অক্সিমিটার কিনেছিলাম। যখন তাদের অক্সিজেন লেবেল ৯০-এ নেমে আসে, তখন চিকিৎসকরা হাসপাতালে নিতে বলেন। গত ১ মে তাদেরকে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করি। প্রথম পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু এর কিছু দিন পর দ্বিতীয় আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় তাদের রিপোর্ট আবারও পজিটিভ আসে।’

তিনি বলেন, ‘তাদেরকে কোভিড ওয়ার্ড থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাদেরকে আরও দুইটা দিন কোভিড ওয়ার্ডে রেখে পর্যবেক্ষণ করার জন্য অনুরোধ জানাই। এরপর হঠাৎ করে ১৩ মে সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে আমার স্ত্রীর কাছে একটা ফোন আসে, আর আমাদের পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়!’’

তিনি আরও বলেন, ‘রালফ্রেড তার শেষ কল ওর মাকে করেছিল। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কথা বলেছিল সে। তার গলা কাঁপছিল। রালফ্রেড বলেছিল, সে সুস্থ হয়ে জোফ্রেডের স্বাস্থ্যের খবর নেবে। এরপর জোফ্রেড মারা যায়। এবার আমরা একটা গল্প তৈরি করি। আমরা তাকে বলি, জোফ্রেডকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রালফ্রেড প্রবৃত্তিগতভাবে সত্যটি জেনে যায়। সে তার মাকে বলে, তোমরা মিথ্যা বলছো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150