কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নারী
কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নারী। ছবি : এএফপি
অনিশ্চিয়তা এবং ভয়ের মধ্যে দিয়ে এক একটি দিন পার করছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নারী। আজ তাদের জীবনে নিজস্ব, পছন্দ বলে নেই কোন শব্দ।
এই সব নারী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংস অত্যাচার থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছেন। কিন্তু সেখানেও তারা যেন এই নির্মম বাঁধন থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নারীদের এমনই দুর্দশার গল্প শুনিয়েছেন স্থানীয় রোহিঙ্গা নারীরা।
ক্রমবর্ধমান ও জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে নারীদের অবস্থার এমন অবনতি হওয়ায় রোহিঙ্গা বাবা-মা তাদের মেয়েদেরকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা মালেশিয়ায় অবস্থান করা পুরুষদের সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করছেন। অনেক সময় মোবাইলে বা ভিডিও অ্যাপ ব্যবহার করে এই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে এই বিষয়ে নারীদের খুব কমই কথা বলা জায়গা থাকে।
এই বিবাহের সম্পর্কটাকে বাস্তবে রূপ দিতে মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি স্বামীর কাছে পৌঁছাতে ভয়ঙ্কর সমুদ্র পথে ভ্রমণেরও সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
এ বিষয়ে জান্নাত আরা নামের এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকলেও, তাদের কাছে আমাকে খাওয়ানো জন্য একটি অতিরিক্ত মুখ হিসাবে দেখা হতো। তাই তারা আমাকে কুয়ালালামপুরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নূর আলমের সঙ্গে বিয়ের কথা বলেছিলেন এবং আমাকে তার কাছে পাঠানোর জন্য ভিন্ন উপায় খোঁজা হচ্ছিল। আমি ছাড়াও আরো সাতজন ভাইবোন রয়েছে আমার। আমার পরিবার বেঁচে আছে মাসে দু’বার করে পাওয়া ২৫ কেজি চাল ভাগাভাগি করে।