দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি =
বগুড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ । গত বুধবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া সঞ্জারবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার কৃত তিনজন বগুড়ার জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সঞ্জারবাড়ির নাসির উদ্দিনের ছেলে পান্না (৩৫), মৃত ইব্রাহিম আলী ওরফে বাটুর ছেলে ফেরদৌস (৫০) এবং মৃত সিরাজ মন্ডলের ছেলে দুদু (৪০)।
মাদ্রাসা ছাত্রীর মা দুপচাঁচিয়া থানায় গ্রেফতার হওয়া ওই তিনজনসহ আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী তার মেয়ে(১৩) নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন। তার মেয়ে একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বাদী অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। সেই সুযোগে গ্রেফতার হওয়া আসামীরা বিভিন্ন সময়ে তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে প্রলোভিত করে বিড়ি, সিগারেট, গাঁজা সেবন করা শেখায়। তার মেয়ে ছোট হওয়ার তাদের কথায় প্রলোভিত হয়ে এসব সেবন করতে থাকে।
বিষয়টি বাদী মা বিষয়টি জানতে পেয়ে আসামীদের নিষেধ করেন। কিন্তু তারা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। একসময় তিনি বাড়িতে না থাকায় ওই তিনজন জোড় করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাদী দেখেন তার মেয়ে বাড়িতে নেই। তখন তিনি মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরদিন বুধবার তার মেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায় বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ওই তিনজন তাকে দুপচাঁচিয়ার সরঞ্জাবাড়ির তিনমাথা মোরের পশ্চিম পাশের একটি চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভোররাত পর্যন্ত তাকে পালাক্রমে তারা দলবল নিয়ে ধর্ষণ করে।
মাদ্রাসা ছাত্রীর মা জানান, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রলোভনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে তিনি কুল কিনারা না পেয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় গ্রেফতার হওয়া ওই তিন আসামীসহ অজ্ঞাত আর ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলা দায়েরের পর একটি চৌকস টিম বুধবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে আসামী পান্না, ফেরদৌস এবং দুদুকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আসামীদের রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।