রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দিন-দুপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২ প্রথম মুক্তি যোদ্ধা নারী হলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মদিন নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি ডিজিজ রোগ নওগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধা প্রতিকী ধর্মঘট মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবু’র নির্বাচনী কর্মীসভা জনসভায় পরিনত নওগাঁর রাণীনগ-আত্রাই উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ৩৮ জনের মনোনয়ন দাখিল নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইরি বোরো ধান কাটা-মাড়াইকরা শুরু বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি ২০২৪-২০২৬ নির্বাচনে ঔষধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীদের পূর্ণ প্যানেলে ভোট দিন মনোহরদীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে উপজেলা সেচ্ছাসেবী পরিষদের অর্থায়নে অসহায় পরিবারের হাতে নির্মাণাধীন ঘরের চাবি হস্তান্তর কালাইয়ে হয়েছে রহমতের বৃষ্টি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ মাগুরায় প্রতিবেশীর হামলায় আহত ৪ চাঁদাবাজি,ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি ২ নেতাকে শোকোজ ঘোষণা নওগাঁ দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মী সঞ্জয় কুমার নিহত

তাইওয়ানে চীনের সামরিক অভিযানের ঘোষণা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৫ বার পঠিত

CINN ডেস্ক : তাইওয়ানকে ঘিরে যেকোনও সময় ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান’ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের জেরেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি, ইপিএ, আল জাজিরা, ব্লুমবার্গ, দ্য গার্ডিয়ান।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উইউ কিয়ান বলেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, তারা সামরিক অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালাবো। চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখ-তা, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন ও তাইওয়ানের স্বাধীনতার নামে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বাইরের শক্তির বাড়াবাড়ির জবাব হিসেবে পরিচালিত হবে এ অভিযান।’

চীনের তরফে দেয়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে এদিন তাইওয়ানে পৌঁছান ন্যান্সি পেলোসি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে তাকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজ রাজধানী তাইপে অবতরণ করে। একই সময়ে তাইওয়ান উপত্যকা ও পূর্ব উপকূলের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় চীন।

তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করা বেইজিং এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।

তাইওয়ানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চীনের: যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের ঘটনায় দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। গতকাল বুধবার ভোরে অঞ্চলটি থেকে বেশ কিছু ফল, দুই ধরনের মাছ ও বালু আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে রাতেই এ ধরনের আরেকটি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হয়। সেটিতে তাইওয়ান থেকে বিস্কুট ও কনফেকশনারী সামগ্রীসহ আরও বেশ কিছু পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের কথা বলা হয়।

রাজনৈতিক মতবিরোধ সত্ত্বেও বেইজিংয়ের সঙ্গে তাইপের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর। তাইওয়ানের রফতানির প্রায় ৩০ শতাংশই হয়ে থাকে চীনে। দুই পক্ষই পরস্পরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।

এদিকে তাইওয়ানে ন্যান্সি পেলোসির ঐতিহাসিক সফরকে চরম বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার আগুন নিয়ে খেলছেন বলেও অভিযোগ করেছে চীন। দেশটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগুন নিয়ে যারা খেলবে তারাই নিজেরাই এতে ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তাইওয়ানের পার্লামেন্টে ন্যান্সি পেলোসি: তাইওয়ানের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। গতকাল বুধবার সকালে সেখানে দেয়া এ ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সংসদীয় আদানপ্রদান আরও বাড়াতে চান তিনি।

সকালে পার্লামেন্ট ভবনে পৌঁছালে সেখানে মার্কিন স্পিকারকে স্বাগত জানান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাই খাই চং। পরে সেখানে দেয়া ভাষণে তাইওয়ানের সমাজব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম মুক্ত সমাজ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ন্যান্সি পেলোসি।

১৯৮৯ সালে ছাত্র বিক্ষোভে গণহত্যার দুই বছর পর বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ার সফরের স্মৃতির কথাও উল্লেখ করেন পেলোসি। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে মানবাধিকার বিষয়ে বিবৃতি দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের সফরের বিষয়বস্তু ছিলো নিরাপত্তা ইস্যুতে। বহু বছর ধরে নিরাপত্তা, অর্থনীতি আর গভর্ন্যান্সই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

এর আগে তাইওয়ানে পৌঁছে টুইটারে দেয়া পোস্টে পেলোসি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। টুইটে তিনি বলেন, তাইওয়ানের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করা বেইজিং এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটি তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে। চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণœ করার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বহন করতে হবে। এর জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’

তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করবে না যুক্তরাষ্ট্র: পেলোসি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, তার দেশ তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করবে না।  গতকাল বুধবার সকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দফতরে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপকালে ওয়াশিংটনের এমন অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি।

এদিন প্রেসিডেন্টের দফতরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হন পেলোসি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একটি বিষয় স্পষ্ট করতেই আমাদের প্রতিনিধি দল এখানে এসেছে। আর সেটি হলো যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে পরিত্যাগ করবে না। তাইপের সঙ্গে ওয়াশিংটনের একাত্ম থাকার বিষয়টি এখন অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তাইওয়ানসহ বাকি দুনিয়ায় গণতন্ত্র রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সংকল্পের কথাও জানান পেলোসি।

কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে থেকেও তাইওয়ানের সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের প্রশংসা করেন মার্কিন স্পিকার।

সামরিক হুমকি সত্ত্বেও পিছু হটবে না তাইওয়ান : তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, তার দেশ বড় ধরনের সামরিক হুমকির মুখে রয়েছে। তবে তাইওয়ান পিছু হটবে না। মঙ্গলবার নিজ কার্যালয় থেকে দেয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সাই ইং-ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তাইওয়ান প্রণালীর নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই দ্বীপের ওপর যেকোনও আগ্রাসন সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখবো। একইসঙ্গে যৌথভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।’

সাই ইং-ওয়েন বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাপ্লাই চেইনের মতো বিষয়গুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো করা হবে।

পেলোসির তাইওয়ান সফর ‘উসকানিমূলক’ 

চীনকে সমর্থন রাশিয়ার

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে উসকানিমূলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সফর ঘিরে চীনকে সমর্থন করবে রাশিয়া। ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, এ ধরনের উসকানিমূলক সফরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াবে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটনকে আগুন নিয়ে না খেলার হুঁশিয়ারি দেন। তবে তিনটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এখনও তাইওয়ানে সফরে অবিচল রয়েছেন পেলোসি।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না তিনি (পেলোসি) সেখানে যাবেন নাকি যাবেন না, তবে এই সফর ঘিরে সবকিছু এবং তাইওয়ানে সম্ভাব্য সফর একেবারে উসকানিমূলক’।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেন, সম্ভাব্য এই সফর চীনের ওপর চাপ বাড়ানোর উসকানিমূলক প্রচেষ্টা। গত কয়েক বছরে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরালো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি উসকানিদাতা রাষ্ট্র’। রাশিয়া এক চীন নীতি নিশ্চিত করে এবং যেকোনোরূপে দ্বীপটির স্বাধীনতার বিরোধিতা করে।

চীনের শত ‘হুমকি-ধামকি’ পাত্তা না দিয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ২৪ ঘণ্টার সফর শেষে বুধবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে তাইওয়ান ছেড়েছেন তিনি। তবে পেলোসির এই সফরের মূল্য তাইওয়ানকে মেটাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তাইওয়ানের মিডিয়া আউটলেট তাইওয়ান প্লাসের আন্তর্জাতিক সম্পাদক দিব্যা গোপালান। খবর আল জাজিরার।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, তাইওয়ানে পেলোসির সফরটা ছিল সংক্ষিপ্ত সময়ের। তবে এই সফরের জের তাইপেকে দীর্ঘ সময় ধরে বহন করতে হবে। অন্যদিকে, অবশ্য এই সফরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মনোযোগ পেয়েছে তাইওয়ান। আর সেটাই ছিল দেশটির চাওয়া। আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমের নজর ছিল তাইওয়ানের দিকে। গণমাধ্যমের শিরোনামজুড়ে ছিল তাইওয়ান।

তিনি বলেন, তবে এসবের মূল্য কিভাবে মেটাতে হবে তাইওয়ানকে? চীন পেলোসির সফরের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই নিয়ে আর এগোনো উচিত নয়। এছাড়া নজিরবিহীন সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। সামরিক হুমকির পাশাপাশি তাইওয়ানের শত শত পণ্য নিষিদ্ধ করেছে চীন। তাইওয়ানের কোম্পানিগুলোকে এমন এক সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে যখন দ্বীপটি করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

চীনকে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন জেলেনস্কি: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন না করেন।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে চীন নিরপেক্ষ আছে। আর চীনের ‘অন্তত নিরপেক্ষ’ থাকার বিষয়টিই আপাতত ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সে এমন মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত, চীন ভারসাম্য বজায় রাখছে, সত্যি বলতে তারা এখন নিরপেক্ষ আছে। রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়ার চেয়ে তাদের ভারসাম্য বজায় রাখার বিয়ষটিই ভালো।

তিনি আরও বলেন, চীন রাশিয়াকে সমর্থন করবে না এটিই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সমালোচনা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। এমনকি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে তারা হামলা বলতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

কিন্তু রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলোর সমালোচনা করেছে চীন। এবং বর্তমান দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘উস্কানির’ কারণে শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করে থাকে তারা।

লভিভে রাশিয়ার হামলা

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের সেনারা ইউক্রেনের লভিভে হামলা চালিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে পোল্যান্ড থেকে পাঠানো অস্ত্র মজুদ করে রেখেছিল ইউক্রেন। আর হামলা চালিয়ে মজুদকৃত অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

তবে রাশিয়ার এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লভিভ ইউক্রেনের পূর্ব দিকে অবস্থিত। যুদ্ধের সম্মুখভাগ থেকে যা অনেক দূরে অবস্থিত। রাশিয়া ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চলে হামলা চালালেও লভিভ তাদের হামলার বাইরে রয়েছে।

তবে অস্ত্র থাকার দোহাই দিয়ে সেখানে মাঝে মাঝে হামলা চালায় রুশ সেনারা। লভিভ ইউক্রেন-পোল্যান্ডের সীমানার কাছে অবস্থিত। ফলে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র পাঠায় তার বেশিরভাগই লভিভ হয়ে আসে।

লভিভ যুদ্ধের সম্মুখভাগ থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষও আশ্রয় নিয়েছে। তাছাড়া এ অঞ্চলটি ব্যবহার করে পোল্যান্ডে চলে যান অনেক শরণার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150