সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় বার্মিজ চাকু দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলায় ১৪ জন গ্রেফতার জয়পুরহাট জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত খ্যাতনামা লেখক ড. হুমায়ূন আজাদের জন্মদিন আজ : নওগাঁ ধামইরহাটে জলের স্তর নেমেছে ১০০ ফুট নিচে মোটর টিউবওয়েল উঠছ না কোমল জল নওগাঁয় তীব্র তাপদাহে বোরধান কাটার সময় হিটস্ট্রোকে রেজাউল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১ তম জন্মদিন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্মাণাধীন মিনি স্টেডিয়ামের পাইলিং এর চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া কিশোর অপূৃর্ব বিশ্বাসকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস  নওগাঁয় কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল শিক্ষক শাহাদতের মধুপুরে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নওগাঁ খাল-বিল, নদী নালা দখল মুক্ত ও দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত শোক সংবাদ! শোক সংবাদ!! নওগাঁর মহাদেবপুরে ফুলবাড়ি নিবাসী মোঃ আব্দুর হামিদ খাঁন সকলকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি দিলেন কালাইয়ে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভয়াবহ গরমে বিনামূল্যে পান করানো হচ্ছে ঠান্ডা শরবত বিদ্যুতের তার ছিড়ে মারা গেলো ভাই, বোন এবং মা দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অভিযানে তিন মাদকসেবী গ্রেফতার বাংলার সাংস্কৃতিক চেতনার ধারক প্রবোধচন্দ্র সেনের শুভ জন্মদিন আজ নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে ড্যাব আয়োজিত শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও পানি বিতরণ মধুপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত এত্তো কাঁদালি দোস্ত : ভালো থাকিস ওপারে দুপচাঁচিায়ায় ৩ মাদক সেবীসহ গ্রেফতার ৬ জন

নওগাঁয় প্রতিবিঘায় আউশের ৫৬ ধান ২৫ মন ফলন হওয়ায় মুখে হাসি -খুশি!!!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৭০ বার পঠিত

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আউশের ফলন ও দামে খুশি নওগাঁর চাষিরা
নওগাঁয় গত বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন চাষিরা। মৌসুমের শেষ দিকে একটানা বৃষ্টির কারণে মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ধান। তবে এবার আউশের ফলনে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন চাষিরা। এবার আউশের ৫৬ ধান প্রতিবিঘায় ২৫ মন হারে হওয়ায় কৃষকোর মুখে হাসি-খুসি । বাজারে ধানের দামও ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বাজারে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে আউশ ধান বিক্রি হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় ৫১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল, এবার তা বেড়ে ৫৫ হাজার ৫০০ হেক্টর হয়েছে। চাষিরা জিরা, কাটারি, বিআর-২৬ ও ২১, ব্রি-২৮, ৫৬, ৬৫, ৮২, ৮৫, বিনা-১৯, পারিজা ও হাইব্রিড হীরা জাতের ধান চাষ করেছেন। এ বছর ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের চৌমাশিয়া ৯ নং ওর্যাডের কৃষক শ্রীসুকুমার চন্দ্র সরকার এর সঙ্গে কথা
বলে জানা গেছে, এবার অনাবৃষ্টির কারণে আউশ ধানের খেতে সেচ দিতে হয়েছে। যার ফলে অন্য বছরের তুলনায় খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে পারছেন চাষিরা। সারা বছর সপ্তাহের প্রতিদিন ধান বেচাকেনা হয়ে থাকে জেলার নিয়ামতপুর সদর বাজারে। শনিবার ওই বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি মণ জিরা জাতের আউশ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। এছাড়া ব্রি-২৮, ৫৬, পারিজা ও হীরা ধান প্রতি মণ ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ধানের আড়তদার আব্দুল জব্বার জানান, গত বছর আউশ ধান ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই ধান এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টি না হওয়ায় আউশ ধানের দানা পরিপুষ্ট হয়েছে। মিল মালিকদের মধ্যে আউশ ধান কেনার বেশ চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
নওগাঁ সদর, মান্দা ও মহাদেবপুরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেতের ধান পেকে গেছে। কাটা, আঁটি বাঁধা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা। ভ্যান, ট্রলিসহ বিভিন্ন বাহনে করে কৃষকরা খেত থেকে ধান তুলে মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
চাষি আলমঙ্গীর হোসেন জানান, এবার বোরো মৌসুমে যে সময় মাঠের ধান পাকতে শুরু করেছিল, সে সময় ঘন ঘন বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ে ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় ও পানিতে ডুবে খেতেই প্রায় ৩০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় ধান কাটতেও বেশি খরচ হয়েছে। সেই তুলনায় এবার আউশ ধান লাভজনক হয়েছে। অনাবৃষ্টি ছাড়া বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সেচের কারণে বাড়তি খরচ হলেও বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক কার্তিক বলেন, “দেড় বিঘা জমিত জিরা ধান লাগাইছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমিত ধান লাগানোর জন্য সরকারি বীজ ও সার প্যায়ছিনু। দেড় বিঘা খ্যাতের মধ্যে ১৬ শতক জমির ধান মাড়াই করে ১০ মণ ধান হইছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ৪ মণ ধান বাজারত ব্যাচে (বিক্রি) দিছি। গত বছর বর্ষালি ইরি (আউশ ধান) ধানের দাম আছিল ৭০০-৮০০ টাকা মণ। সেই তুলনায় এবার ধানের দাম ভালো।”
মান্দা উপজেলার সাবাইহাট গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রতি বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষে সাধারণত ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ১০ হাজার টাকা করে খরচ পড়েছে। এবার প্রতি বিঘায় ধানের ফলন হচ্ছে ১৭–১৮ মণ করে। সে হিসাবে প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ৬০০ টাকা। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের বাজারদর ১ হাজার ২০০ টাকা।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, “এবার কৃষি বিভাগ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ ধান, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সঠিক সময়ে আউশ ধান রোপণ ও বপনের কাজ করায় ভালো ফলন হয়েছে। ৬-৭ শতাংশ জমির ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমির ধান ভালোভাবে কৃষকের ঘরে উঠে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150