আল আমিন হাসান নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেক শহিদ জীবন দিয়ে দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্থাপন করে গেছেন । অনেক রণাঙ্গণা জীবন কে উৎসর্গ করে দিয়ে দেশের প্রতি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন আবার আবার অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যারা জীবনকে বাজি রেখে পাক সেনাদের কাছ থেকে দেশ রক্ষায় যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে
দিয়েছেন ।
জামালপুর সরিষাবাড়ীর গর্ব , তথা সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদন ইউনিয়নের গর্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব এম.এ.লতীফ ।
যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকা কে রক্ষা করতে ভারতের দেরাদূন সামরিক একাডেমিতে ট্রেনিং শেষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা জামালপুর শেরপুর, কুড়িগ্রামের বিভিন্ন রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বাংলার লাল সবুজের পতকা ছিনিয়ে নিয়ে আসার এক মহা নায়ক ।
মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ কালীণ বিএলএফ কমান্ডার ছিলেন
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতীফ ।
১৯৭৫ সনের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে দীর্ঘদিন ফেরারি জীবন কাটিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার ।
তাকে গ্রেফতার হতে হয় ততকালীন শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের আদেশে । দীর্ঘ আঠারো মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয় বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ লতীফ কে । বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ লতিফ এর বাবা গাজী সরকার প্রায় ৩০ বছর পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ লতিফ এর গ্রেফতার এর খবর শুনে তার বাবা গাজী সরকার হার্টফেল করে মৃত্যুণ করেন ।
বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ লতীফ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেন এবং পরবর্তী সময়ে আবার ১৯/৫/২০২৩ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে বজ্রকন্ঠে ৭৫ এর খুনি দোসর ও ২১শে আগষ্টের নেপথ্য নায়কদের প্রেতাত্মাদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদেরকে এই বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতীফ ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ লতিফ তিনি তার ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে দায়িত্ব পালন করেছেন
সভাপতি
জামালপুর, শেরপুর মহকুমা ছাত্রলীগ(১৯৬৬-৬৭)
প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক
সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ (১৯৬৮)
সভাপতি
শ্রমিকলীগ সরিষাবাড়ি আঞ্চলিক শাখা (১৯৭০)
প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি
সরিষাবাড়ি উপজেলা যুবলীগ(১৯৭২)
সহ-সভাপতি
সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ
সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ (টানা তৃতীয় মেয়াদ১৯৭৮থেকে১৯৯১)
প্রতিষ্ঠা কালীন চেয়ারম্যান
৮নং মহাদান ইউনিয়ন পরিষদ (দ্বিতীয় মেয়াদ)
প্রবীণ এই রাজনৈতিক কূটকৌশল জানা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব জনাব বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ লতীফ মহোদয় সেই কৈশোর থেকে আজ অবদি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ।
মনে প্রাণে তার একটাই আশা যত দিন বাঁচবেন স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জন নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করা ।