কাতারের ২৭ লাখ ৫০ হাজার অধিবাসীর মধ্যে ৯০ শতাংশই বিদেশী! তারা বিশ্বকাপের নির্মাণকাজের জন্যই মূলত বিভিন্ন অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যান। এসব বিদেশীর মধ্যে অন্তত ২৬ হাজার মানুষ বিশ্বকাপ অবকাঠামো নির্মাণে সরাসরি যুক্ত। কমিটি ওয়েলফেয়ার রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনায় তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত হন অন্তত ১১ জন। এছাড়া একজন তুর্কি কাঠমিস্ত্রি আর এক নেপালি মারা যান হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে।২০১৯ সালের অক্টোবরে আরেক নেপালি কাতারে যাওয়ার পাঁচদিন পর আত্মহত্যা করেন। ৫৪ বছর বয়সী এক ভারতীয় ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয় হূদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। এক মাস পর টিবিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩৫ বছর বয়সী এক নেপালি, আর ডিসেম্বরে নিজের মেসে মৃত্যুবরণ করেন ২১ বছর বয়সী এক ভারতীয়। কার্ডিওলজি জার্নালের এক সমীক্ষা বলছে, কার্ডিওভাস্কুলার সম্পর্কিত কারণেই ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কাতারে অন্তত ১৩০০ নেপালির মৃত্যু হয়েছে!
শুধু এসব মৃত্যুই নয়; কাতারি মালিকদের বিরুদ্ধে বেতন বকেয়া রাখা এবং কম বেতন দেওয়ারও অভিযোগ আছে। আয়োজকদের সুপ্রিম কমিটির নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ কুতুব এএফপিকে বলেন, ‘যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করেছি, এখানে আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না। আমরা কিন্তু বলতে পারি, এসব মৃত্যু প্রকল্পের স্থানে হয়নি, কাজেই এর দায়ও আমাদের নয়। কিন্তু আমরা যতটা সম্ভব স্বচ্ছ থাকতে চাই। প্রতিরোধমূলক অনেক ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছি এবং প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই কিন্তু উত্তম।’