ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জোনাথন ভ্যান-ট্যাম বলেছেন, করোনায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলির থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শটি বেশ কার্যকরি। করোনার সংক্রমণ রুখতে এটা বেশ শক্তিশালী একটা পদক্ষেপ।
যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা সরকারের পরামর্শ অনুসরণ অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। এটা যাতে সবাই পালন করে সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি সময়ের সাথে সাথে মারাত্মক খারাপের দিকে যাচ্ছে। হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরা কোভিড -১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি।
করোনার মহামারি ঠেকাতে পুরো দেশে অচলাবস্থা জারি করেছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে দেখা করতেও নিষেধ করেছেন তিনি। যাদের মধ্যে করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা দেবে তাদেরকে আইসোলোশনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জনসন। সেই সাথে রেঁস্তোরা, ক্যাফে, সিনেমা হল ও বারে না যাওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
গোটা ইংল্যান্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৪৩ জন। এর মধ্যে লন্ডনের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার বলছেন যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানীক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স। এ পর্যন্ত করোনায় ইংল্যান্ডে ৫৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্রিটেনের শীর্ষ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আগামী এক বছরের মধ্যে ব্রিটেনে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।