শেখ রেজওয়ান আহমেদ জীবন,কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে ঃ
কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে ফজর আলী ও আরশাদ আলীর সাথে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে শ্যালক ফজর আলীর শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতি সামছুর রহমান গাজী সামছু (৬৫) খুন হয়েছে। ভাইয়েদের আঘাতে বোন মর্জিনা খাতুন মারাত্নক আহত হয়ে কালিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা দেড় টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে। জানা গেছে শালক কতৃর্ক ভগ্নিপতির মাথায় লোহার রডের আঘাত করলে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম হয় তাকে দ্রুত পরিবারের সদস্যরা কালিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত শামসুর রহমান গাজী( ৫৫) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ও অবের আলী গাজীর পুত্র এবং আহত স্ত্রী মাজদা খাতুন( ৪০)। ঘটনার পর হতে একই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর পুত্র ঘাতক শ্যালক ফজর আলী গাজী( ৫০) এবং তার ভাই আহাদ আলী গাজী(৩২) মারা যাওয়ার খবরে থেকে পালিয়েছে। কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হালিমুর রহমান বাবু সহ এস,আই মিলন পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। রঘুনাথপুর গ্রামের মুস্তাহিদ ইসলাম, আব্দুল হাকিম, রফিকুল ইসলাম এবং নিহতের পুত্রবধূ শাহানারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, গত ২/৩ দিন আগে রাতে নিহত শামসুর রহমানের পুত্র মিজানুর রহমান রঘুনাথপুর গ্রামের মাজেদ সরদার, শাহিনুর রহমান এর মৎস্য ঘেরে গেলে তাকে চোর সন্দেহে আটকে রাখে। সেখান থেকে মারের ভয়ে মিজানুর পালিয়ে বাড়িতে আসে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আনুমানিক ১টার সময় মিজানুরের মামা অর্থাৎ নিহত শামসুর রহমানের শ্যালক ফজর আলী এবং আহাদ আলী ভগ্নিপতি শামসুর রহমান এবং বোন মাজেদা খাতুনের সঙ্গে গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। এদিকে বোনের ওয়ারেশ সূত্রে জমি জায়গা না পাওয়ায় ভগ্নিপতির সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে ফজর আলী এবং আহাদ আলী শাবল দিয়ে ভগ্নিপতি শামসুর রহমানের মাথায় উপযুপুরী আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় এবং বোন মাজদা খাতুন কে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের কে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় শামসুর রহমানকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ রিপোর্ট লেখার পর্যন্ত থানায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।