উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ
নওগাঁ সহ বিভিন্ন উপজেলায় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে যে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৮০-২০০ টাকা সেটি আজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০২৬০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি যা ছিল ৩৫০ টাকা। এদিকে ঈদ সামনে রেখে মাংসের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে তর্ক-বিতর্কও লেগে যাচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পৌর মার্কেটের মুরগি বাজারে ঘুরে দেখা গেলো, ব্রয়লার ২৫০- টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।
মুরগি ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেন বলেন, ঈদ সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের পাইকারিতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এরপর আবার পরিবহন সহ অন্যান্য খরচ আছে। তাই এখন যেটুকু লাভ না করলেই নয় সে দামে বিক্রি করছি।
ব্রয়লার মুরগির সরকার নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা কেজি, আপনারা বিক্রি করছেন আড়াইশ টাকা। দাম এত বেশি কেন , এমন প্রশ্নে আরেক বিক্রেতা আজাদুল হক বলেন, দাম বেড়েছে মানেই যে আমরা অনেক লাভ করছি তা কিন্তু না। চাহিদা বাড়ায় দামে না পোষালে খামারিরা মুরগি ছাড়ছেন না। তাই আমাদের সরকার নির্ধারিত দামের অনেক বেশি দিয়ে পাইকারিতেই কিনতে হচ্ছে।
বাজারে মুরগি কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, ঈদে বাসায় আত্মীয়-স্বজন আসবে তাই মুরগি কিনতে এসেছি। বাজারে এসে তো মাথাই খারাপ। কয়েকদিন আগেও যে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ তা ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের কাছে ক্রেতারা জিম্মি। আমাদের আর কী করার আছে, না কিনেও উপায় নেই। সরকার তো দাম নির্ধারণ করে দিয়েই খালাস। বাজার মনিটরিং না করলে এর কোনো লাভ নেই।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজার মনিটরিং করে অধিক দামে মুরগি বিক্রির সত্যতা পেলে কৃষি বিপণন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।