মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে পানি বেড়েছে|আগামী দুই দিন জোয়ারের সময়ে পানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর)এই তথ্য জানা গেছে|
পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলা-উপজেলা সদরের প্রধান শহরেও পানি ঢুকেছে। যদিও সেই পানি ভাটার সঙ্গে সঙ্গে নামতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টমিটার ওপরে,ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার,ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার,দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টমিটার, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টমিটার,পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উড়িষ্যা অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশালের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর ও বরিশাল নদী বন্দরে ১ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।আজ রোববার সকাল থেকে বরিশালে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে|