সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব আলহাজ্ব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর মতবিনিময় সভা নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ নওগাঁর পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দিন-দুপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২ প্রথম মুক্তি যোদ্ধা নারী হলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মদিন নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি ডিজিজ রোগ নওগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধা প্রতিকী ধর্মঘট মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবু’র নির্বাচনী কর্মীসভা জনসভায় পরিনত নওগাঁর রাণীনগ-আত্রাই উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ৩৮ জনের মনোনয়ন দাখিল নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইরি বোরো ধান কাটা-মাড়াইকরা শুরু বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি ২০২৪-২০২৬ নির্বাচনে ঔষধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীদের পূর্ণ প্যানেলে ভোট দিন মনোহরদীতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও ক্লাবের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে উপজেলা সেচ্ছাসেবী পরিষদের অর্থায়নে অসহায় পরিবারের হাতে নির্মাণাধীন ঘরের চাবি হস্তান্তর কালাইয়ে হয়েছে রহমতের বৃষ্টি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০ মাগুরায় প্রতিবেশীর হামলায় আহত ৪ চাঁদাবাজি,ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি ২ নেতাকে শোকোজ ঘোষণা

২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে সবসময় পরমুখাপেক্ষী থাকা চলবে না -প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ মে, ২০২১
  • ২৮৯ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে। সবসময় পরমুখাপেক্ষী থাকা চলবে না। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেক সভায় সরকার প্রধান একথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেরেবাংলা নগর এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এছাড়া সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও কয়েকজন মন্ত্রী ও সচিব বৈঠকে সংযুক্ত হন । এনইসি সম্মেলন কক্ষে এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চেীধুরী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির সময় আমি একথাটিই বারবার বলছিলাম, যে করেই হোক আমাদের খাদ্য উৎপাদনটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই আমাদের খাবারের অভাব না হয়। এই দিকটাতে সবাইকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।’
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করুন, ট্রেনিং দেন। তাদের বলেন, নিজের বাড়িতে অনেক জমি-জমা পড়ে থাকে; সেগুলো পরে থাকবে কেন? সেগুলো চাষবাষের আওতায় নিয়ে এসে খামার করে অনেক টাকা আয় করতে পারে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির মালিকও হতে পারে। প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ সব থেকে বেশি ভালো চলবে। দেশেও তো মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। আবার বিদেশেও রফতনি করতে পারবে। তবে দেশের বাজার তৈরিটা সব থেকে আগে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজেই দেশের বাজারেও পণ্য সম্প্রসারিত করতে পারবে। তাতে উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য সবই বাড়বে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান যুগে কেউ একা চলতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়। এখন পৃথিবীটা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সারাবিশ্বই এখন সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগের একটা সুযোগ। কাজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার যেন কাজে লাগতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আবার সমস্যাও সৃষ্টি করে। তবে এর মধ্য থেকে ভালোটা বেছে নিতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সেটা পারব। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢালাওভাবে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পন মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঢালাওভাবে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ না দেয়ার কথা বলেছেন। পরামর্শক যতখানি দরকার ততটাই নেয়া হবে। ঢালাওভাবে নয়। চোখ বন্ধ করে পরামর্শক নেয়া যাবে না। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনের তাগিদেই কেবল পরামর্শক নিয়োগ দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে বলেছেন। এরমধ্যে জনসম্পৃক্ত প্রকল্পগুলোর দিকে তিনি বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় যেন তার গবেষণা খাতের বরাদ্দ যথাযথভাবে খরচ করে সেটা দেখতে বলেছেন।
এদিকে আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাক টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এডিপির এই আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২০ হাজার ১৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি।
এছাড়া সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২৭ হাজার ৬৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সব কিছু মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলারে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সময় এমন একটি সংবাদ আমাদের জন্য আনন্দের।’
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া খাতের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি খাত হচ্ছে, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১৭ হাজার ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ খাতে ৮ হাজার ৫২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি মন্ত্রণালয় :
স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৮ হাজার ৪১ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ২৫ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ১৩ হাজার কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা, সেতু বিভাগে ৯ হাজার ৮১২ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৮ হাজার ২২ কোটি টাকা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৬ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ প্রকল্প :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, চতুর্থ পিইডিপি কর্মসূচি, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতু প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ডিপিডিসির আওতায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন এবং ঢাকা বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প।
এডিপিতে এবার বরাদ্দসহ প্রকল্প সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৫১৫টি। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপি থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে ১ হাজার ৩৯৬টি প্রকল্প, নতুন অনুমোদিত প্রকল্প ৩০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ৮৯টি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বরাদ্দহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প রয়েছে ৫৯৬টি, বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প ১৪১টি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বেও প্রকল্প ৮৮টি এবং শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্প হচ্ছে ৩৫৬টি প্রকল্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By cinn24.com
themesbazar24752150